কবিতা

অধর্মের শ্লোক

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৬, ০০:০৬ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৬, ০০:১৮

বরাবর, 
হে প্রভু,

বিষয়: নরকে সাড়ে পাঁচ ফুট জায়গার আবেদন।

অধর্মের একটা শ্লোক বানাবো আমি-
'অশ্রু যখন ঝরাবে অঝোরে, অতলে হারাইবে অংহ'
পাপে মানুষ বাঁচে না। 
পাপকে রূপান্তর করলে বাঁচে। 
অবদ্য করো তুমি পাপীকে? 
বলো তার সবকিছুর অবসান হবে।
তাকে কি অন্তর চেনাও?

সবাই যে স্বর্গের জন্য অ্যাপ্লিকেশন লেখো, আমি সে স্বর্গকে প্রতিদিন সকাল বিকেল সিগ্রেটে টেনে ধোঁয়া ছাড়ি অক্সিজেনে। 

তাকিয়ে পৃথিবী দেখি,
দেখি কি করে বাতাসে ভেসে সকল অর্হিত ধুয়ে যায়।

 

অহিংসায় মুক্তি মেলে না,
অশ্রুতে যেমন কাটে না বিষাদ।
অভিসারে মেলে না তৃপ্তি,
যেমন অভিকর্ষর টানে সব ধ্বসে পড়ে।

অনেক আগে একটা ধর্মের কারখানাতে অবরোধ ডেকেছিলাম। 
অদম্য ইচ্ছেশক্তিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলাম, 
'আমায় নরকে জায়গা করে দিতেই হবে, তা সেখানে জনসংখ্যা যত বেশিই থাকনা কেনো'।

ওখানে সকল কবি ও শিল্পীদের অবরুদ্ধ তেজ আছে, 
শরীর তারা কখনো ভাবেনি, 
স্বর্গ তারা কখনো আশা করেনি, 
অশরীরেই মর্ত্যে তারা অবসাদের অবসান করে গ্যাছে অন্তরালে। 

ওখানে অনেক আগুন, 
অগ্নিচ্ছটায় নাকি আমার সুন্দর শরীর পুড়ে যাবে! 
ও অনল আমায় কত পোড়াবে প্রভু? 
ততোটা যতটা বিষাদে পুড়েছে মন? 
বা ততোটা যতটা পুড়লে অনুভূতি থেমে যায়?

আমার স্বর্গে বড্ড অরুচি।

অবসাদে মরে যাই।

অনুজ্ঞা করি।

অ্যালুমিনিয়ামের ভেতর অস্পষ্ট কর্মফল-
ভোগ করবে?
অকৃতজ্ঞ প্রভু কোথাকার। 
তোমার জবানবন্দী নেবো আমি
সাহস আছে? 
তুমি অস্বীকার করতে পারবে এতদিন তোমায় আমরা বাঁচিয়ে রেখেছি করুণা করে?

তুমি অকেজো, তোমার কাজ মানুষেরা করছে।
তুমি অকোবিদ, মানুষের বুদ্ধিতে চলছো।

তুমি বসে যে শয়তানের সাথে পাশা খেলো,সে শয়তান মানুষের দাস।
মানুষ অক্সিজেনে বাঁচে, তুমি বাঁচো তাদের প্রার্থনায়। 

আমি পাপকে তাই রূপান্তর করবো তাপে, 
তাপকে শক্তিতে। 
তারপর গোটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রকে এক করবো মানবতায়। 

আমার অ্যাপ্লিকেশনে আপনি স্বাক্ষর করতে বাধ্য থাকিবেন।