রাধারাই'র একগুচ্ছ কবিতা
প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৬, ২১:২০
১
এ কেমন অনুভূতি?
কীসের কারণে তোমার জন্যে আমার এই অপেক্ষা?
কীসের টানে তোমাকে দেখার আমার এই ব্যাকুলতা?
কীসের স্বার্থে তোমাকে পাবার জন্যে আমার এই অধীর আকুলতা?
কীসের স্পর্শে তোমাকে কাছে রাখার আমার এতো কল্পনা?
এ কী ভালোবাসা নাকি শুধু ক্ষনিকের আবেগ?
এ কী প্রেম নাকি শুধুই ছলনা?
এ কী বাস্তব নাকি স্বপ্ন?
এ কী নতুন জীবনের বার্তা নাকি মৃত্যুবাণ?
তুমি কী আমার বাঁচার নতুন আশা
নাকি রাতের অন্ধকারে তারা?
তুমি কী আমার ভালোবাসার কবিতা
নাকি বেদনানাশক গল্প?
তুমি কী আমার শতদুঃখের একচিলতে রোদ নাকি মহা ঝড়ের তান্ডব?
তুমি কী আমার সেইজন যার জন্যে এতোকালের প্রতিক্ষা
নাকি তা শুধুই আমার ভুলধারণা?
২
শুধু তোমাকেই ভালোবাসবো
আমি পাইনি কখনো কারো মধু-ছোঁয়া
স্বপ্নে তোমার পরশ, অনুভবে যাদু-মায়া
এই মনে কেউ ছিল না- নেই আপন
শুধু তোমাকেই খুঁজে ফেরে অবুঝ মন।
নেইনি কারো খোঁচা-দাড়ির চুলকানি
সযত্নে প্রতীক্ষা, তৃষ্ণা-ঠোঁটে ব্যালকোনি
তোমায় নিয়ে রাঙা স্বপ্নে আজানা সরণী
পাড়ি দেবো বলে কারো স্পর্শ খুঁজিনি।
জানি, আসবে যেদিন ফুঁটবে ফুল-সুবাসিনি
মনের লেনদেন হবে বায়ুতে কত কানাকানি!
খুনসুটি কলরব দুজনার প্রেমে সব
দুষ্টুমী কোলাহল, বেদনারা তাই নিরব।
ভুলেও প্রেম করিনি, তোমার নায়ে যাবো
মন-প্রাণ-অস্থিত্ব দিয়ে তোমায় ভালবাসবো
এসো তুমি প্রার্থনা হয়ে, সতীত্ব তোফা দেবো
মন-প্রাণ-অস্থিত্ব দিয়ে তোমায় ভালবাসবো।
৩
শুধু তোমাকেই ভালোবাসবো
আমি পাইনি কখনো কারো মধু-ছোঁয়া
স্বপ্নে তোমার পরশ, অনুভবে যাদু-মায়া
এই মনে কেউ ছিল না- নেই আপন
শুধু তোমাকেই খুঁজে ফেরে অবুঝ মন।
নেইনি কারো খোঁচা-দাড়ির চুলকানি
সযত্নে প্রতীক্ষা, তৃষ্ণা-ঠোঁটে ব্যালকোনি
তোমায় নিয়ে রাঙা স্বপ্নে আজানা সরণী
পাড়ি দেবো বলে কারো স্পর্শ খুঁজিনি।
জানি, আসবে যেদিন ফুঁটবে ফুল-সুবাসিনি
মনের লেনদেন হবে বায়ুতে কত কানাকানি!
খুনসুটি কলরব দুজনার প্রেমে সব
দুষ্টুমী কোলাহল, বেদনারা তাই নিরব। .
ভুলেও প্রেম করিনি, তোমার নায়ে যাবো
মন-প্রাণ-অস্থিত্ব দিয়ে তোমায় ভালবাসবো
এসো তুমি প্রার্থনা হয়ে, সতীত্ব তোফা দেবো
মন-প্রাণ-অস্থিত্ব দিয়ে তোমায় ভালবাসবো।
৪
তোমারই সম্মুখস্থ
কখনোও রাতজাগা হতো না
হতো না ভোরের সূর্য উঠা দেখার সৌভিক।
হতো না কখনোও মিষ্টি পাখিদের সুরালাপ; মধুপ কণ্ঠে গান শুনা।
শিশিরধৌত বৃক্ষলতা;
শিতল শুদ্ধিকরণ বাতাস;
রৌদ্রের ঝিকিমিকি;
প্রকৃতিজ সৌন্দর্যরূপ কখনোও যে আমার চোখে পরেনি
বরঞ্চ কাটিয়ে দিয়েছি আমার পঁচিশটি বছর।
হঠাৎ করেই আমার এই ঘুড়োয়া জীবনেতিবৃত্তে তোমার আগমবেদী।
সারাবেলা, সারাটিবেলা
যখন তোমার সাথে কথা বলার
তোমাকে দুনয়ন ভরে দেখার
তোমাকে অনুভবনীয় করার
প্রহৃত শেষ হয়ে
আসতো ঠিক তখনই ঘুমঘুম নয়নী
যেন আরো সতেজ হয়ে উঠিতো।
কেন জানি না?
কেনই বা সে ব্যাকুলা হয়ে উঠিতো?
তোমার মিষ্টি ভালোবাসার মিষ্টি চুম্বনরসের নিজেকে বিলিয়ে
দিতে তোমারই সম্মুখস্থ হয়ে পরতো
শত বারণ শর্তেও।