কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:১০
ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন যে বীর সন্তানেরা, সেই অমর সন্তানদের স্মরণে প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি। এই দিনে শহীদ মিনারকে ঘিরে হয় থাকে নানা আয়োজন। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ধোয়ামোছা শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জার কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৌন্দর্য বাড়াতে শহীদ মিনারসহ আশেপাশের রাস্তার দেয়ালে নতুন রঙ করার কাজ চলছে। শহীদ মিনারের চারপাশে লাইট স্থাপন করা হয়েছে। আশপাশের রাস্তাজুড়ে আলপনা আঁকার কাজ চলছে। এছাড়া পুরো এলাকাজুড়ে রয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী। আয়োজকরা জানিয়েছেন,অমর একুশ উদযাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পুরো কাজ আজকের (বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, ২১ ফেব্রুয়ারির দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ পুরো এলাকাটি সিসিটিভির আওতায় থাকবে। অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি মিনারে বিদেশি অতিথি এবং কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। যেকোনও ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর থাকবেন।
জানতে চাইলে আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘অমর একুশ উদযাপনের প্রস্তুতি একেবারেই শেষের দিকে। আজকের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’ পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে একুশ উদযাপনের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কোনও সংগঠন যেন কোনও ধরনের প্রোগ্রাম না করে, সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা মিনার প্রাঙ্গণে আলপনা এঁকে মূল বেদীসহ সংলগ্ন এলাকা রঙের তুলিতে সাজাবেন। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাস বা আইডি কার্ড ব্যতীত প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়— ২০ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকরা, ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।