‘নাটকের মাধ্যমে না বলা কথাগুলো বলা যায়’
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৫২ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:০৯
জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস মাদকের বিরুদ্ধে সংস্কৃতি কর্মীদের জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সারাদেশে মাসব্যাপী নাট্যোৎসব উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নাটক, কবিতা ও সাহিত্য এমন একটা মাধ্যম যে আমরা যেখানে মিটিং মিছিল করতে পারি না। বক্তব্য দিতে পারি না, নাটকের মাধ্যমে না বলা কথাগুলো সেখানে বলা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিপথগামী শিশু, কিশোর, যুবকদের সুপথে আনতে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার গুরুত্ব রয়েছে। বর্তমান যুগে অনেক সময় দেখা যায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ একটি পরিবার, একটি সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে যুব সমাজ তাদের যদি আমরা সঠিক পথে নিয়ে আসতে চাই তাহলে খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা এসব দিকে যত বেশি তাদের আমরা সম্পৃক্ত করতে পারবো ততই আমরা তাদের সুপথে আনতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মাসব্যাপী এ নাট্যোৎসব মুজিববর্ষকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। একসঙ্গে বাংলাদেশের ৪০০টি স্থানে নাটকের উৎসব সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি দূর হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা রাজপথে মিছিল-মিটিং করতে পারিনি, তখন সংস্কৃতি কর্মীরা পথ নাটকের মাধ্যমে আন্দোলনের গতি অব্যাহত রেখেছেন। ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়ে নাম লিখে গেছেন এই মাসে তিনি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নুরুলদীনের সারাজীবন নাটকটা যখন মহিলা সমিতি নাট্যমঞ্চে হতো…কয়েকবারই আমি সেখানে…আমি কাউকে না বলে নিজে টিকিট কিনে…সেখানে চুপচাপ গিয়ে বসেছি। যখনই নাটক শুরু হবে তখনই সেখানে চলে গিয়েছি। নাটকটা অন্তত আমি ২/৩ বার দেখেছি। আর যতবার দেখেছি আমি চোখের পানি রাখতে পারিনি। আরো সুন্দর সুন্দর নাটক হওয়া দরকার। আরো বেশি চর্চা হওয়া দরকার।
নাটকের ওপর সেন্সর প্রথা তুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কিন্তু এই নাটকের উপর অনেক ধরনের কালা-কানুন জারি করেছিল। সেই কালাকানুনগুলো ৯৬ সালে সরকারে এসে কিন্তু আমরা তুলে নেই। সবাই যেন স্বাধীনভাবে নাটক করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। নাটকের ওপর যে সেন্সর করা হতো সেই সেন্সর প্রথাটা সম্পূর্ণ তুলে দিয়েছিলাম। নাটক তার স্বাধীন সত্তা নিয়ে চলবে সেজন্যই আমরা এটা তুলে দেই।