শিল্পকলায় উদীচীর 'বৌ-বসন্তি'
প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:২১ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:২৬
২২ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের অন্যতম জনপ্রিয় প্রযোজনা 'বৌ-বসন্তি'-এর ৫৬তম পরিবেশনা।
আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে পরিবেশিত হবে নাটকটি। নাটক শুরুর আগে বিকাল পাঁচটা থেকে এক্সপেরিমেন্টাল হলের টিকিট কাউন্টারে পাওয়া যাবে টিকিট।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট নাট্যকার অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী রচিত এবং নাট্যজন আজাদ আবুল কালাম নির্দেশিত নাটকটির সময়কাল ১৯৭১ সাল, যে সময়টায় পূর্ব পাকিস্তানে নাটকের আরম্ভ আর বাংলাদেশে এসে সমাপ্তি। যখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল তখনও স্বাধিকার প্রমত্ত বাঙালি ছিল। আর যখন বাংলাদেশ তখনও বাঙালির মধ্যে লুকিয়ে আছে কতিপয় স্বাধীনতাবিরোধী। এই রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে কোনো এক গ্রামীণ জনপদের জীবন বৈচিত্র্য প্রকাশ পেয়েছে 'বৌ-বসন্তি' নাটকে।
নাটকটির গল্প ঘুরপাক খায় গ্রামের চোর বদর ও মনুর জীবনের নানা কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে। বদর একই গ্রামের ভিক্ষুকের মেয়েকে ভালোবাসলেও তাতে প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে, সালিশে গ্রামছাড়া হয়ে গঞ্জে গিয়ে আরেকজনকে বিয়ে করলেও নতুন বউয়ের নানা বায়না মেটাতে হিমশিম খায় সে। এক পর্যায়ে তার সেই স্ত্রী-ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মদদকারী ধূর্ত প্রতারক মঈনের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এই সম্পর্কের টানাপোড়েনের পাশাপাশি নাটকটিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নানা ঘটনাচিত্র খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় শহর ছেড়ে মানুষের গ্রামে ছুটে চলা, বাজারে নিত্যপণ্যের হাহাকার, রাজাকারদের নানা কর্মকাণ্ড ফুটিয়ে তোলা ছাড়াও দেখানো হয়েছে কীভাবে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে নানা কূটকৌশলে বিভ্রান্ত করা হতো।
উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের দর্শকনন্দিত এ নাটকটি উপভোগের জন্য আগামীকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে আসার জন্য সকল নাট্যপ্রেমী মানুষের কাছে আহবান জানানো হয়েছে।