কবিতা

অপেক্ষা

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:১৮

আমিও হচ্ছি চুরি 
তাড়াতাড়ি করিস দেখা 
বলি বলি করতে গিয়েও- গলির মুখে বলিরেখা !
একি তোর শর্ট ফিলিমে ক্লোজশটে ঐ রেলের গাড়ি 
পিছনে কালো ধোঁয়ায় থুতনি-কাটা অল্প দাড়ি !
কেশে আর ডাকবি কত সব্বোনেশে বঙ্গলিপি 
সিঁড়িতে 'খুকুমনি' আলতা দেখে বাড়ছে বি.পি !
চলে আয় শাহবাগে মধ্যরাতে ঢাকা ---চাপা 
রিকশায় পর্দা ছেঁড়া- বিপ্লব- তুই সুগার মাপা !

ওরে ও ওরে ক্ষেপা 
কলেজ স্ট্রিটে ঝালটা বেশি 
ফুচকার আদর খেয়ে দেখ্ রে আমার বাংলাদেশী !
ভিজে যাই কথার তোড়ে- কাঁটা বাছে দেয়ালঘড়ি 
আজো কি শুকোয় ছাদে আমসি-রোদে ডালের বড়ি ?
এখনো হয় কি মনে? রাতদুপুরে পাড়ায়ে ফিরি 
দরজায় কড়া নাড়ে- উপোসী সেই 'শ্রমিক বিড়ি' !

আজো কি একই আছিস ঘর পালানো বেহর বাগী
কে তোকে ভাত বেড়ে দেয় মরিচ দিয়ে- ও বদরাগী !
এলোমেলো চুলে আমার রূপোলী কোন পর্দা জুড়ে 
সিটি মারে প্রেসার কুকার জবাকুসুম তেলের ঘোরে !
চশমার ঝাঁপসা কাঁচে বৃষ্টি মোছে ওয়াইপারে ?
ওরে চাপা দিয়ে গেছে তোকে কারা হিন্দমোটরে !
বল্ এ মিথ্যে কথা ও ঝালমুড়ি ঝাঁকাই তোরে 
আমতেলে থৈ থৈ কোন ট্রেনের কামরা পিছলে পড়ে ?

কালীঘাট নার্সিংহোমে ও কার বউয়ের বাচ্চা হলে 
আঙুলে নাড়ি পেঁচাই- মুখের আদল আসানসোলে ?
বিপ্লব মরে নাকি? ওরে বোকা ছদ্মবেশী 
এখনো অপেক্ষাতে বাবলুর ঐ মেজপিসি !
বড়জোর বছর বিশেক বস্তাপচা বাংলা গিলে 
চুরি করে নিয়ে যেও পারলে তাকে অন্ত্যমিলে !
কত রাত? ও কলকাতা ! ঘুমোও নাকি বই এর ভাঁজে ?
জুম করে দেখছি আমি- 'শেষটা' কোথায় রাখলে গুঁজে ?

শেষটা শেষ না হলে মন্দ হয় না গল্প লেখা 
পারলে এই 'অপেক্ষা'টা- চুরি করে বাঁচতে শেখা !
বলি বলি বলতে গিয়েও গলির মুখে বলিরেখা 
পারলে এই 'অপেক্ষা'টা চুরি করে আমায় দেখা।