রোহিঙ্গা নিধনের প্রতিবাদ ও তাদের প্রত্যাবাসনের দাবি উদীচী’র
প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২২
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর রাষ্ট্রীয় মদদে হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণ-নিপীড়ন ও নিজ মাতৃভূমি থেকে বিতারণের প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
উদীচী আয়োজিত দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়। দেশে ও বিদেশে উদীচী’র সাড়ে তিন শতাধিক শাখার বেশিরভাগ স্থানে একযোগে পালিত হয় এ কর্মসূচি।
কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় ৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। “রোহিঙ্গা নিধন রুখে দাঁড়াও বিশ্ব”- এ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ। এতে বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন এবং ঢাকা মহানগর সংসদের সহ-সভাপতি একরাম হোসেন।
এছাড়াও, এতে উদীচী’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগর সংসদ ও এর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের কার্যকর উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এ দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্রকে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে বলেও দাবি জানান বক্তারা।
এসময় মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরবের নীরবতার নিন্দা জানানো হয়। এই ইস্যুতে ভারতের দ্বিমুখী নীতিরও সমালোচনা করেন বক্তারা।
সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা সন্তোষজনক নয় মন্তব্য করে তারা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যে জাতিগত নির্মূল অভিযান চলছে তার সমাধানে অবশ্যই বিশ্ব জনমতকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসার জন্য সরকারকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।
একইসাথে, নিজ দেশের নাগরিকদের উপর মিয়ানমার সরকারের চালানো মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদ ও রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে সর্বস্তরের জনগণকে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হতে হবে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও বিতাড়ন বন্ধ করা, রোহিঙ্গাদের জাতিগত স্বীকৃতি দেওয়া এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে প্রত্যাবাসন করার দাবিও জানানো হয় উদীচী’র প্রতিবাদ কর্মসূচিতে।