মোটরবাইকে ৪০ দিনে ১০ দেশ পাড়ি চার নারীর
প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৬, ১৮:৩২ | আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬, ১৮:৪০
শিশুকন্যা রক্ষা ও নারী অধিকারের বার্তা নিয়ে এক অনন্য অভিযানে নেমেছেন ভারতের নারীরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ বার্তাই ছড়িয়ে দিতে গুজরাত থেকে সিঙ্গাপুর এক দুঃসাহসী মোটরসাইকেল অভিযানে নেমেছেন গুজরাতের ৪ নারী।
১০ দিনে ২ রাজ্য, ২’টি দেশ আর আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গুয়াহাটিতে হাজির হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজারাতের এই ৪ দুঃসাহসী নারী। তবে এখানেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না তাঁরা। মোটরবাইকে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, লাওস, কম্বোডিয়া হয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে শেষ হবে তাঁদের অভিযান।
চলতি বছর ৩ মে, নরেন্দ্র মোদীর দপ্তরে দেখা করে তাঁর আশীর্বাদ নেন সরিতা মেহতা, খ্যাতি দেশাই, যোগমা দেশাই ও দুরিয়া তাপিয়া। মোদীকে তাঁরা জানান, শিশুকন্যা রক্ষা ও নারী অধিকারের বার্তা নিয়ে তাঁরা মোটরবাইকে গুজরাত থেকে সিঙ্গাপুর যেতে চান। প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ পেয়ে যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়। ৪ জুন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন তাঁদের অভিযানের সূচনা করেন।
সরিতা মেহতা একজন মনোবিদ ও পর্বতারোহী। ‘দুরিয়া’ নামে এক পর্যটন সংস্থা চালান তিনি। যোগমা দেশাই পেশায় স্থপতি। খ্যাতি মানবসম্পদ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।
৪ জনেরই নেশা মোটরবাইক চালানো। গুজরাতের সুরাত থেকে প্রথমে তাঁরা মুম্বাই যান। সেখান থেকে বিমানে কাঠমান্ডু। নেপাল ও ভুটান হয়ে উত্তর-পূর্বে ঢোকেন তাঁরা।
বুধবার (১৫ জুন) পশ্চিমবঙ্গের গুয়াহাটিতে আসেন ৪ কন্যা। সাংবাদিকদের জানান, ৪০ দিনে ১০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে, ১০টি দেশ ঘুরে তাঁদের সিঙ্গাপুর পৌঁছনোর কথা। নেপাল থেকে সিঙ্গাপুরের সড়ক সবে খোলা হয়েছে।
তাঁরা জানান, আনকোরা পথের প্রথম যাত্রী হয়ে তাঁরা দেশ ছাড়িয়ে এশিয়াতেও লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে চান।
খ্যাতি দেশাই জানান, সবচেয়ে খারাপ ছিল ভুটান থেকে গুয়াহাটি আসার রাস্তা। অনেক অংশে রাস্তাই নেই, নেই পেট্রোল পাম্প। সেই সঙ্গে ছিল বৃষ্টি আর কুয়াশার বাঁধা।
দুরিয়া তাপিয়া জানান, নেপালে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী ও ভারতের রাষ্ট্রদূত তাঁদের সংবর্ধনা জানিয়েছেন। নারী সবলীকরণের উপরে সে দেশে ভাষণ দেন তাঁরা। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সেরিং টোপগেও স্বাগত জানান তাঁদের। গুয়াহাটি থেকে নাগাল্যান্ড, মণিপুর হয়ে মায়ানমারে ঢুকবেন তাঁরা।
দলনেত্রী সরিতা বলেন, “এই যাত্রায় একই সঙ্গে কেন্দ্রের অ্যাক্ট-ইস্ট নীতি ও বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও নীতি মিলেমিশে যাবে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বে কেন্দ্রের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আবার এখানকার অনেক উপজাতিতে মাতৃতান্ত্রিক সমাজও দেখা যায়। তাই অভিযানের আদর্শের সঙ্গে এখানকার মিল অনেক।”
সূত্র: আনন্দবাজার