নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালো কল্পনা শীল
প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:১৭
টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালো কল্পনা শীল (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রী। সে বাসাইল পৌর শহরের পূর্বপাড়ার শ্রীভাস চন্দ্র শীলের মেয়ে ও বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
সোমবার (২১ নভেম্বর) তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ে উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বাধ সাধে কল্পনা শীল। সে ১৮ বছরের আগে বিয়ে করবে না বলে তার বাবা-মাকে জানায়। তার বাবা-মা ও অন্যান্য আত্মীয়রা কল্পনার বাধা উপেক্ষা করে বিয়ের দিন ধার্য করে।
সোমবার বিয়ে হচ্ছে এ খবর নিশ্চিত হয়েই রবিবার (২০ নভেম্বর) নবম শ্রেণির ভোকেশনাল পরীক্ষা শেষ করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র কার্যালয়ে প্রতিবাদী কল্পনা তার দুই বান্ধবীকে নিয়ে হাজির হন। পরে জোর করে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে জানালে কল্পনার বাবা-মাকে ডেকে আনেন তিনি।
মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে কল্পনাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় তার বাবা-মা। এছাড়া কল্পনার বাবা শ্রীভাস চন্দ্র শীলকে ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের জেল দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন, বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমসহ অন্যরা।
নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকানো প্রসঙ্গে কল্পনা শীল বলেন, বাল্য ও শিশু বিবাহের বিভিন্ন কুফল ও আইনের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে সচেতন হয়েই আমি প্রতিজ্ঞা করি ১৮ বছরের আগে বিয়ে করব না। তাই স্যারের (এসিল্যান্ড) শরণাপন্ন হয়েছি।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, আমরা উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মতবিনিময় করছি। মানুষ সচেতন হচ্ছে কল্পনা শীল তারই প্রমাণ।