ট্রাম্পকে শিক্ষা দিয়ে ভাইরাল হলেন আসামের তরুণী

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ২০:০৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

আবহাওয়া আর জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য কী তা ৭২ বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বুঝিয়ে দিয়ে রীতিমত সেলিব্রেটি হয়ে গেলেন ১৮ বছর বয়সী আসামের এক তরুণী।

গত ২২ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার টুইটারে টুইট করে লিখেন, ‘কনকনে আর দীর্ঘ এই শীত আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।’  সেই সাথে তিনি লিখেন, ‘কোথায় গেল বৈশ্বিক উষ্ণতা’ ।

ট্রাম্পের সেই টুইটটি এরপর অসংখ্যবার রি-টুইট হয়, বেশিরভাগই ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। সেখানেই তরুণী শিক্ষার্থী আস্থা শর্মা টুইটের জবাবে লিখেন,  “আমি আপনার থেকে ৫৪ বছরের ছোট। এভারেজ মার্কস পেয়ে সম্প্রতি হাইস্কুল পাশ করেছি। কিন্তু আমিও আপনার জ্ঞাতার্থে জানাতে পারি, আবহাওয়া কী আর জলবায়ু কী। চাইলে আপনার বোঝার সুবিধার জন্য আমার এনসাইক্লোপিডিয়া বইটি আপনাকে ধার দিতে পারি। ওটা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে আমার কাছে আছে। বইটায় ছবি ও তথ্য দিয়ে সব ভাল করে বোঝানো আছে।”

সাথেই সাথেই হিট হয়ে যান আস্থা। অসংখ্য প্রশংসাবাণী আর ভালোবাসায় নেট দুনিয়ায় খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে আস্থার। বেশিরভাগই ট্রাম্পের দেশের মানুষ। ইতিমধ্যে টুইটারে বেড়ে গেছে আস্থার ফলোয়াড়ের সংখ্যাও।

আস্থাকে প্রশংসা করে কালিওপা ডেভ মন্তব্য ঘরে লিখেছে, ঐ টুইটে একটা কার্টুন থাকলে আরও জমত। ব্র্যাড অসবর্নের টুইট করে লিখেন, ‘আমার নতুন হিরো আস্থা শর্মা।’ ডন জোনস লেখেন, ‘এতক্ষণে নিশ্চয়ই ওয়াশিংটন ডিসির তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে। কারণ ট্রাম্পকে টুইটের আগুনে রোস্ট করে ফেলেছেন আস্থা শর্মা।’ 

পরে আস্থা আবারও লিখেন, আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট বোঝাতে চেয়েছেন, এই ‘আর্কটিক কোল্ড ব্লাস্ট’। যা বিশ্ব উষ্ণায়নের তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে। কিন্তু আমার মতে, একবার ‘আর্কটিক কোল্ড ব্লাস্ট’ হওয়া মানেই বিশ্ব উষ্ণায়ন মিথ্যে হয়ে যায় না। আমি ভুল হতে পারি। কিন্তু নিজের মতটা জানালাম মাত্র।

প্রসঙ্গত ট্রাম্পের কাজকর্ম আর টুইট নিয়ে হরহামেশাই সবাই বিদ্রুপ করতে থাকেন। কিন্তু আসামের যোরহাটে বসে অখ্যাত এই তরুণী কেনই-বা ট্রাম্পকে আবহাওয়া আর জলবায়ুর পাঠ পড়াতে গেলেন? উত্তরটা খুব সহজ।  আঠারো বছর বয়সেই তো স্পর্ধারা মাথা তোলার ঝুঁকি নেয়। তাই তো কবি লিখেন, এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে!

সূত্র: আনন্দবাজার​ 

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত