বিএস২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্ত

মৃত্যুর আগে ১০ নেপালি যাত্রীকে বাঁচিয়েছিলেন নারী পাইলট

প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৪:৫৬

অনলাইন ডেস্ক

বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইটে নিজের জীবনের বিনিময়ে ১০ নেপালি যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন বিমানটির তরুণ বৈমানিক প্রিথুলা রশিদ। মৃত্যুর আগেও বাংলাদেশকে গর্বিত করে গেছেন এই বাঙালি কন্যা।

বেঁচে যাওয়া ঐ যাত্রীদের বরাত দিয়ে নেপাল ভিত্তিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নিজের জীবনের পরোয়া না করে নারী পাইলট প্রিথুলা রশিদ জীবনের শেষ মুহুর্তে ১০ জন নেপালী যাত্রীকে উদ্ধার করেন। মূলত এই উদ্ধার করতে গিয়েই জীবন প্রদীপ নিভে যায় বৈমানিক প্রিথুলা রশিদের। কিন্তু তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়নি, বেঁচে আছেন ঐ ১০ নেপালী যাত্রী।

এরই মধ্যে বীরকন্যার এই সাহসিকতায় প্রশংসায় ভাসছে নেপালের গণমাধ্যমগুলো। এই বীর ও সাহসী নারীকে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইটে সহকারি পাইলট হিসেবে ছিলেন বৈমানিক প্রিথুলা রশিদ। ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলটও ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইটটি ১২ মার্চ (সোমবার) দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ৬৭ জন যাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ ও নারী ২৮ জন ছিলেন, শিশু ছিলেন দুইজন। এছাড়া ফ্লাইটটিতে দুইজন পাইলট ও দুইজন বিমানকর্মী ছিল। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি, ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা ৫০।