নারী পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধিতে ২৬১ যাত্রীর প্রাণ রক্ষা
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৭:৪৫
ভারতের এয়ার ইন্ডিয়ার নারী কো-পাইলট অনুপমা কোহলির সাহসিকতা আর উপস্থিত বুদ্ধিতে প্রাণে বেঁচেছে দুটি বিমানের অন্তত ২৬১ জন যাত্রী। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে দুটি এয়ারলাইনস।
দুইটি বিমানই মুখোমুখি, একদিকে মুম্বাই থেকে ভোপালগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ৬৩১ আর অন্যদিকে ভিস্তারার দিল্লি থেকে পুনেগামী ইউকে ৯৯৭ ফ্লাইট মুম্বাইয়ের আকশে হঠাত্ করেই একই উচ্চতায় ১০০ ফুট দূরত্বে চলে আসে। সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য হাতে ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। টয়লেট ব্রেকে তখন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট, বিমানটি তখন কো-পাইলট অনুপমা কোহলির নিয়ন্ত্রণে।সময় নষ্ট না করে মুহুর্তেই তিনি বিমানটিকে ৬০০ ফুট উচ্চতায় নিয়ে যান। তাৎক্ষণিক সংঘর্ষ থেকে বেঁচে যায় এয়ার ইন্ডিয়া আর ভিস্তারা এয়ারলাইনস, সেই সাথে প্রাণে রক্ষা পান দুই এয়ারলাইনসের প্রায় ২৬১ জন যাত্রী।
কো-পাইলট অনুপমা কোহলির এই সাহসিকতায় প্রশংসায় ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো, জানাচ্ছেন অকুন্ঠ অভিবাদন। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটলো, সেদিন?
বস্তুত আকাশে একাধিক উড়োজাহাজ উড়লেও কখনো সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে না। কারণ প্রতি এয়ারলাইনসের চলাচল থাকে নিয়ন্ত্রিত, একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় একটি নির্দিষ্ট গতিতে চলে একেকটি উড়োজাহাজ। আর পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে।
ঘটনার সময় ২৭ হাজার ফুট উচ্চতায় নিজের গতিতেই চলছিল এয়ার ইন্ডিয়া, আর ২৯ হাজার ফুট উচ্চতায় ভিস্তেরা। দুই বিমানেই পাইলটরাই টয়লেট ব্রেক নিয়েছিলেন, নিয়ন্ত্রণে ছিলেন কো-পাইলটরা। হঠাত্ করে যখন ২৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ২৭ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসে ভিস্তেরা। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশনা পেয়েই ভিস্তেরা তার উচ্চতা পরিবর্তন করেছিল, জানিয়েছেন ভিস্তেরার কো-পাইলট। আর মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের কর্তব্যটিই সেদিন করেছিলেন ৩৯ বছর বয়সী এয়ার ইন্ডিয়ার কো-পাইলট অনুপমা কোহলি।
এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিমানবন্দর পুলিশ। সেদিন এয়ার ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা কর্মীদের এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।