সংগ্রামী নারী বিক্রমপুর কন্যা মালতী চৌধুরী
প্রকাশ | ১৭ মে ২০১৭, ১৪:৪৫
মালতী চৌধুরী ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, সক্রিয় কর্মী ও সমাজসেবিকা এবং অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী। তিনি ১৯০৪ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ব্যারিস্টার কুমুদনাথ সেন ও মাতা স্নেহলতা সেন। তাঁর পৈতিকবাড়ি বিক্রমপুরের কামারখাড়া/কামারগাও অথবা কামারখন্দ (গ্রামের নাম নিয়ে বিভ্রান্তির কারণ হচ্ছে গ্রন্থাদিতে নামটি স্পষ্ট নয়)।
প্রারম্ভিক জীবন
মালতি চৌধুরী শান্তিনিকেতনে পড়াকালীন সরাসরি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংস্পর্শে আসেন। ওড়িষ্যার একদা মুখ্যমন্ত্রী নবকৃষ্ণ চৌধুরীর সাথে তার বিবাহ হয় ১৯২৭ সালে শান্তিনিকেতনে।
অহিংস আন্দোলন
মহাত্মা গান্ধীর প্রভাবে তিনি ১৯৩০-এ অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন এবং গ্রেপ্তার হয়ে ভাগলপুর সেন্ট্রাল জেলে প্রেরিত হন। ১৯৩২ খৃষ্টাব্দে হাজারিবাগ জেলে ছিলেন। ৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও অংশ নিয়ে কারাবাস করেছেন।
সামাজিক কাজ
সর্বোদয় নেত্রী হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। স্বাধীনতার পর দরিদ্র, দলিত, আদিবাসী হরিজন ছেলেমেয়েদের সেবাকার্যে আত্মনিয়োগ করেন। গ্রামের কৃষকদের উন্নতির স্বার্থে, সংস্কার ও জনকল্যাণকর কর্মসূচি নিয়েছেন, সংগঠন তৈরি করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে কিছুকালের জন্যে উড়িষ্যার প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী হয়েছিলেন। ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে দেশজোড়া জরুরী অবস্থা জারী হলে তার বিরুদ্ধে পথে নামেন এবং ৭১ বছর বয়েসে তাকে ছয় মাসের জন্যে কারারুদ্ধ হতে হয়। আচার্য বিনোবা ভাবের ভূদান আন্দোলনেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
সম্মান
উড়িষ্যা সরকার তাকে ‘উতকল রত্ন’ সম্মানে ভূষিত করে। শিশু কল্যানমূলক কাজে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন। সমাজসেবামূলক কাজের জন্যে তিনি ১৯৮৬ সালে যমুনালাল বাজাজ পুরষ্কারে সম্মানিত হলেও তা নিতে অস্বীকার করেছিলেন।
মৃত্যু
১৫ মার্চ ১৯৯৮ সালে ৯৩ বছর বয়েসে তার মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া