মিয়ানমারের শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সামাধান চায় বাংলাদেশ
প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২১:০৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সামাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে শরণার্থী বিষয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্যোগে জাতিসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে ‘লিডার্স সামিট অন রিফিউজি ইস্যু’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার মিয়ানমার থেকে আসা উদ্বাস্তু সঙ্কটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজতে সে দেশের নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির সঙ্গে তার ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে আসা বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। নিজেদের সীমিত সম্পদ নিয়েও বাংলাদেশ এই শরণার্থীদের জন্য দায়িত্ব পালন করে আসছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই শরণার্থী শিবিরগুলোতে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে। তাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং তাদের স্বনির্ভর করে তুলতে দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়টিও বাড়তি গুরুত্ব পাবে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশের স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবেশী দেশের এই উদ্বাস্তুদের নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তা করতে গিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
মিয়ানমার থেকে আসা উদ্বাস্তুর প্রকৃত সংখ্যা জানতে সম্প্রতি একটি জরিপ পরিচালনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশের এই শরণার্থীদের পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, যাতে তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেবা এবং বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় না পড়ে।’
শরণার্থী সঙ্কটের সমাধানে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে মানুষের নিয়মতান্ত্রিক, নিরাপদ ও দায়িত্বশীল অভিবাসনের সুযোগকে আমাদের এগিয়ে নিতেই হবে।’