খালেদা আদালতে যাচ্ছেন না

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৬, ১১:০২

অনলাইন ডেস্ক

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার আইনজীবি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি নেত্রীর প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে গত ২ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সময় আবেদন মঞ্জুর করে মামলার কার্যক্রম আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবি করে আদালত।

বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেডে মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন।
এর আগে ওইদিন নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদনটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকায় সময় প্রার্থনা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সময় প্রার্থনার বিরোধিতা করে মামলা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আদালতে বক্তব্য পেশ করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে ২৩ জুন পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।

গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।