ঢাকা ক্লাবসহ ১৩টি ক্লাবে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ

জুয়া খেলা বাংলাদেশের আইন পরিপন্থী বলে বিবেচিত। ঢাকা ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ১৩টি ক্লাবে জুয়া জাতীয় খেলা যেমন-অর্থের বিনিময়ে তাস, ডাইস ও হাউজি খেলার ওপর হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা আপাতত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাবের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্লাবগুলোর পক্ষে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে চেম্বার বিচারপতি ৮ ডিসেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করে আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সেই অনুযায়ী আজ মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এলে আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট চৌধুরী মোহাম্মদ রেদোয়ানে খুদা। অপরদিকে ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদি হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি নামিদামি ক্লাবে জুয়া জাতীয় খেলার উপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। 

ক্লাবগুলো হলো- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমণ্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।

হাইকোর্টের আদেশের পর আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব জানিয়েছিলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।