সংবিধানের ৯৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদ বিষয়ে আদেশ মূলতবি
প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:১১
বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতি বিষয়ক ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের ওপর আদেশ স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করা হয়েছে। পরে যেকোনো সময়ে এ আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত বলেন, ‘এটি সাংবিধানিক বিষয়। আমরা আরও দেখবো। বিষয়টি স্ট্যান্ডওভার রাখলাম’।
পরে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী বলেন, আদালত বিষয়টি ষ্ট্যান্ডওভার রেখেছেন। পরে যেকোনো সময় এটার ওপর আদেশ দেওয়া হবে।
গত ০৩ নভেম্বর হাইকোর্টে রিটটি করেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী নিজেই শুনানিতে অংশ নেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
রিটে থেকে জানা যায়, সংবিধানের এ দুটি অনুচ্ছেদ ৭, ২২, ২৬, ৩১ ও ১০৯ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রিট আবেদন দাখিলের দিন এ বিষয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ১১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নিম্ন আদালতের সব দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের ওপর। কিন্তু ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হয়, যা সংবিধানের মূল নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ ছাড়া ৯৫ (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আইন তৈরি করে বিচারপতি নিয়োগের কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইন তৈরি করা হয়নি। প্রতিটি সরকার নিজ নিজ ক্ষমতাবলে বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা গত ১ নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথককরণ দিবস উপলক্ষে একটি বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে দেশে বিচার বিভাগে দ্বৈত শাসন চলছে। এতে করে বিচার বিভাগের কার্যে বিঘ্ন ঘটছে।