যুদ্ধাপরাধ: নোয়াখালীর ৪ আসামির রায় যে কোনো দিন

নোয়াখালীর সুধারামের আমির আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় যে কোনো দিন (সিএভি) ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ৩১তম রায়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। এ মামলার আসামিরা হলেন- আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন, মো. আব্দুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। তাদের মধ্যে মনসুর পলাতক। মামলার আরেক আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন। গত বছরের ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওইদিনই প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত সংস্থা। ২০১৬ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ চারজনের বিচার শুরু হয়।