রেইনট্রি’র ধর্ষকরা কারাগারে আছে রাজকীয় আরামে
প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২৫
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনার মামলায় সাফাত, নাঈম ও সাদমান কেরানীগঞ্জের কারাগারে আছেন। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে তাদের ইয়াবা সেবনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং তারা বিভিন্ন নেশায় মত্ত থাকে। তাদের নেশার বিষয়টি জানতে পেরে কারা কর্তৃপক্ষ নজরদারি বাড়িয়েছে।
ধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি সাফাত আহমেদ শুরুতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকলেও পরে তাকে তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। আর তার প্রিয় বন্ধু সাদমান সাকিফ ছিলেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ। অপরদিকে সাফাতের সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় নাঈম আশরাফ ছিলেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ তে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এখানে তাদের তিনজনকেই নিয়ে আসা হয়। কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে তিন বন্ধু কারাগারের একই সেলে রয়েছে। তারা সাধারণ কয়েদি ও হাজতীদের সঙ্গে মিলে মিশেই আছেন। তবে রাত বাড়লেই তারা সেলের ভেতরই ইয়াবা’র নেশা করছেন।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে তিন বন্ধু এক সঙ্গে কোরবানির ঈদ করেছেন। একই সেলে থাকার কারণে সবাই নিজেদের মধ্যে সবকিছু ভাগাভাগি করছেন, আনন্দ ফূর্তিতে রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে কেন্দ্রীয় কারাগারের এক ডেপুটি জেলার চ্যানেল জানিয়েছেন, বনানীর ধর্ষকদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে।
সেলের ভেতর ধর্ষকদের মাদক সেবন সম্পর্কে জানতে চেয়ে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। পরে ভয় দেখিয়ে তাদেরকে ধর্ষণ করে।
বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।
মামলার পর পৃথক অভিযানে সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় রহমত ছাড়া চার আসামিই ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।