মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৬ আসামীর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০১৭, ১৯:০৩
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় ১৬ আসামীর বিষয়ে ২৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ধানমন্ডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, আসামীদের মধ্যে ১২ জন যশোর ও নড়াইল জেলার এবং ৪ জন শেরপুর জেলার বাসিন্দা। শেরপুরের ৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে আটকের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন-এসএম আমিনুজ্জামান ফারুক, একেএম আকরাম হোসেন ও মো.এমদাদুল হক ওরফে খাজা ডাক্তার। শেরপুরের ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম। ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকালে ৬০ জনের বক্তব্য নেয়া হয় এবং ৩৪ জনকে মামলায় সাক্ষি করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, নির্যাতনসহ সুনির্দিষ্ট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামীরা স্থানীয় বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তদন্ত সংস্থা জানায়।
সানাউল হক জানান, যশোর ও নড়াইল জেলার ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় ৫ জনকে আটকের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীরা হচ্ছেন-আব্দুল ওহাব মোল্লা, মো. ওমর আলী শেখ, মো. বদরোদ্দোজা ওরফে বদিউজ্জামান, মো. দাউদ শেখ ও মো. গুলজার হোসেন খান। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ তদন্ত শুরু হয়। গণহত্যা, হত্যা ,ধর্ষণ, নির্যাতনের অপরাধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে এ ১২ আসামীর বিরুদ্ধে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সানাউল হক বলেন, এম ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রয়েছে। তার বিষয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য ওসমান ফারুক বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বিএনপি সরকারের সময়ের শিক্ষামন্ত্রী।