প্রধানমন্ত্রীর ভুয়া স্বাক্ষরে শেকৃবিতে ছাত্রী ভর্তির চেষ্টা
প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৪৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর জাল করে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ২০১৬-১৭ সেশনের প্রথম বর্ষে বিশেষ কোটায় এক ছাত্রীকে ভর্তির সুপারিশ করতে এসে ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) ধরা পড়েছেন এক নারী। তাকে শেরেবাংলা নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটক ওই নারীর নাম মোছা. হাছিনা বেগম। তিনি নিজেকে গণভবনের বাবুর্চি পরিচয় দিয়ে এসেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শেকৃবির ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ফাহিম জাহান দৃষ্টি নামের এক ছাত্রীকে বিশেষ কোটায় ভর্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) উপাচার্যকে একটি চিঠি দেন হাছিনা বেগম। সুপারিশপত্রে গত ২৩ জানুয়ারি স্বাক্ষর করা প্রধানমন্ত্রীর একটি ভুয়া স্বাক্ষর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ডেপুটি স্পিকারসহ মোট ৫ জনের ভুয়া স্বাক্ষর সম্বলিত সুপারিশ নিয়ে আসেন ওই নারী।
গত ৯ ডিসেম্বর শেকৃবিতে ভর্তি পরীক্ষার পর ১২ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করা হয়। ওই ছাত্রী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও নির্বাচিত হয়নি। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ওই নারী উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। উপাচার্যের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন দেখা করার পাশাপাশি ফোনেও যোগাযোগ করেন।
শেকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মোট চার দিন ওই নারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আমার সঙ্গে দেখা করে ওইসব ভুয়া সুপারিশপত্র দেন। তিনি যখন দেখা করতে আসেন তখন তার গলায় গণভবনের আইডি কার্ড ঝুলানো ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী ‘স্বাক্ষরিত’ চিঠিতে উপাচার্যের নামের ভুল বানান ছাড়াও ওই চিঠির দুর্বল ভাষা ও একাধিক বানানে ভুল থাকায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। খোঁজখবর নিয়ে এক পর্যায় নিশ্চিত হই এটা ভুয়া সুপারিশপত্র।