মেডিকেল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: ট্রাফিক পরিদর্শক কারাগারে

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:৪১

অনলাইন ডেস্ক

এক মেডিকেল ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা ছড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় মমিনুল ইসলাম (৪৮) নামের এক ট্রাফিক পরিদর্শককে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

অভিযুক্ত ট্রাফিক পরিদর্শক চাঁপাইনবাবগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

মমিনুলকে আসামি করে গত ১৯ এপ্রিল কুষ্টিয়া মডেল থানায় তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই ছাত্রী মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম। তদন্ত শেষে গত ২৯ অক্টোবর মমিনুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তিনি। এর আগে মামলার পর থেকে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।

মমিনুল আজ সকালে কুষ্টিয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আদালতের পরিদর্শক রতন শেখ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মমিনুলের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলায়। ২০১২ সালে তিনি কুষ্টিয়া ট্রাফিক কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ওই মেয়েটি তখন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। তাঁরা পরস্পরের পরিচিত। ২০১২ সালের জুনে কুষ্টিয়া শহরের এক আবাসিক রেস্টুরেন্টে খাওয়াতে নিয়ে গিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মমিনুল। পরবর্তী সময়ে ওই ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে মেয়েটিকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন তিনি। 

এ বছরের জানুয়ারিতে মেয়েটির বিয়ের পর তাঁর স্বামী, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের মুঠোফোনে মমিনুল সেগুলো পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনার পর মেয়েটির স্বামী তাঁকে তালাকের নোটিশ পাঠান। পরে মেয়েটি মামলা করেন।