শিশুকে গণধর্ষণের পর মাটিচাপা, আটক ৩
প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৭:১৪ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৭:৪০
বয়স মাত্র ১০ বছর, এর মধ্যেই পৃথিবীর কুৎষিত রূপটি দেখলো মেয়েটি। দল বেঁধে ধর্ষণ করে প্রমাণ লুকাতে তাকে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা। পার পায়নি তারা। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর আটক করা হয়েছে ৩ জন সন্দেহভাজনকে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগে তিন যুবককে আটকের পর, আটককৃত একজনের বাড়ির পাশের টিলা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল আহমদ, রাসেল আহমদ ও ছাদেক হোসেনকে আটকের পর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তাদের সবার বয়স ২৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের জানান, সকালে মক্তবের ছুটি শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল শিশুটি। পথে বড়খেওড় এলাকার ইমাম উদ্দিনের বাড়ির কাছে গেলে স্থানীয় যুবক আবুল আহমদ, হোসেন আহমদ ও নারাইনপুর গ্রামের মোস্তাক আহমদ তুলে নিয়ে যায় শিশুটিকে।
লোকমুখে এ কথা শুনে শিশুটির বড় ভাই ইমাম উদ্দিনের বাড়িতে যান। কিন্তু ওই বাড়ির লোকজন জানান, শিশুটি সহপাঠীদের সঙ্গে অন্য বাড়িতে বেড়াতে গেছে। ফিরে এলেই পৌঁছে দেওয়া হবে বাড়িতে। সারাদিন অপেক্ষার পরও শিশুটি না ফেরায় স্বজনরা গ্রামের লোকজন নিয়ে রাতে আবার যায় ইমাম উদ্দিনের বাড়িতে। তখন ওই বাড়ির লোকজন শুরু করে নানা টালবাহানা। শিশুটির স্বজনরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মজির উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ইমাম উদ্দিনের বাড়ি যান। এর আগেই তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান বাড়ির সবাই।
এর মধ্যে শিশুটির স্বজনরা পুলিশে খবর দেয়। তারা এসে আটক করে সন্দেহভাজন তিন যুবককে। জিজ্ঞাসাবাদে আবুল আহমদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির পাশের টিলার ওপর থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, আটক তিন জন শিশুটিকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। পরে তারা মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতেই এ হত্যার ঘটনায় নিহত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন থানায়।