‘সঠিক’ পথেই মিতু হত্যার তদন্ত

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৪:১০ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৯:১২

অনলাইন ডেস্ক

হত্যার মোটিভ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না পাওয়া, কথিত বন্দুকযুদ্ধে গ্রেপ্তারকৃত ক'জন নিহত হওয়া, বাবুল আক্তারের পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে সঠিক কোন বক্তব্য না পাওয়া ইত্যাদি অস্পষ্টতা ও ধোঁয়াশার পরেও মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সঠিক পথেই চলছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। 

এসপি বাবুলের স্ত্রী হত‌্যাকাণ্ডে তিন মাস পূর্তিতে বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, “তদন্তের ভালোই অগ্রগতি আছে।”

তবে অগ্রগতি আসলে কতটুকু, সে বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করেননি। কী কারণে এই হত‌্যাকাণ্ড, তার খোলাসা এখনও হয়নি।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট।”

বাবুল আক্তারের পদত্যাগ নিয়ে ধোঁয়াশার ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্য বুধবার বলেন, “বাদী হয়েও বাবুল ও তার শ্বশুর ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। বরং আমরাই তার সাথে যোগাযোগ করে মামলার বিষয়ে কথা বলেছি।

“বিষয়টি স্বাভাবিকতার পর্যায়ে পড়ে না,” মন্তব‌্য করে তিনি বলেন, “আমরা দেখছি, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার শ্বশুর মিডিয়াতে কথা বলছে। কিন্তু মামলার বিষয়ে তিনি (বাবুল) কোনো কথা বলেন না।”

তবে সন্দেহের তালিকায় বাবুল আছেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট উত্তর দেননি পুলিশ কর্মকর্তারা। 

পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক মঙ্গলবার বলেছিলেন, এ বিষয়ে স্পষ্ট তথ‌্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

একই প্রশ্নে তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বুধবার বলেন, “তদন্ত চলছে। তদন্তনাধীন বিষয়ে অগ্রিম কথা বলা যাবে না।”

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে এসপি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে বাবুল ঢাকায় বদলি হওয়ার কয়েক দিনের মধ‌্যে গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তার স্ত্রী মিতুকে। মিতু হত‌্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে, এছাড়া দুজন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ জঙ্গি সংশ্লিষ্টতাকে প্রাধান্য দিলেও পরে অবস্থান বদলায় পুলিশ।

এ ঘটনায় বাবুল বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলার পর দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুর বাড়িতে ওঠেন।