ভোলায় ধর্ষণের মামলা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০১৭, ২০:০০
এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় করা মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ জুলাই (রবিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
ঐ কিশোরী জানান, গত ১০ মে লালমোহন উপজেলার পেশকারহাটে তিনি গণধর্ষণের শিকার হন। এরপর একটি বাড়িতে তাকে তিন দিন আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত ১৪ মে ছাত্রলীগের সাত কর্মীকে আসামি করে লালমোহন থানায় মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কিশোরী বলেন, তিনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান, কিন্তু পুলিশ ও প্রভাবশালীরা তার বিপক্ষে; বিশেষ করে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলম ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
মামলার বাদী বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য আলম তাকে ও তার মেয়েকে ঘটনার দিন থেকে তিন দিন পর্যন্ত স্থানীয় এক নারীর ঘরে আটকে রাখেন। এতে আলমের ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে রুবেল সহযোগিতা দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তারা আলম ও রুবেলকেও মামলার আসামি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ করেনি। আলম আসামিদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা তুলে পুলিশকে দিয়ে মামলা ধামাচাপার চেষ্টা করছেন। এ কারণেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। তা ছাড়া তাদের এলাকাছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা লালমোহন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, টাকা-পয়সা নেওয়ার অভিযোগ একদম সত্য নয়। তিনি ওই মামলার তদন্ত করছিলেন। কিন্তু ২৪ জুন তিনি চরফ্যাশন থানায় বদলি হয়ে গেছেন।
ভোলার সহকারী পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলার এজাহার সাজানো হয়েছে। সেভাবেই অভিযোগপত্র হবে। তা ছাড়া আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এই ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে আলম বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের নেতা। এখন ব্যস্ত আছেন। এরপর তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন পঞ্চায়েতকে মুঠোফোন ধরিয়ে দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। জাকির হোসেন বলেন, ‘আলম মেম্বার এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।’