শ্যালিকাকে অপহরণ, দুলাভাইয়ের যাবজ্জীবন

শ্যালিকাকে অপহরণ মামলায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দুলাভাই মো. কামরুল ইসলাম প্রধানিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

সাজাপ্রাপ্ত কামরুল ইসলাম হাজীগঞ্জ উপজেলার রামরা গ্রামের ডা. বিল্লাল হোসেন প্রধানিয়ার ছেলে। অপহরণের শিকার তরুণী স্থানীয় এক মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

আজ ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. সেলিম মিয়া এই রায় দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কামরুল ইসলাম দোষী সাবস্ত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে তরুণীটি বাড়ি থেকে মাদ্রাসা যাচ্ছিলেন। পথে কাপাইকাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে থেকে দুলাভাই কামরুল তাকে অপহরণ করেন।

এই ঘটনায় সে বছর ২৭ আগস্ট মেয়েটির বাবা হাজীগঞ্জ থানায় কামরুলের বিরুদ্ধে অপরহণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই-তৎকালীন) আব্দুল মান্নান ঘটনার তদন্ত শেষে ওই বছরেরই ২৮ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চাঁদপুরের স্পেশাল পিপি অ্যাড. হাবিবুল ইসলাম তালুকদার বলেন, অপহরণের আগে থেকেই আসামি ঐ তরুণীকে যৌন হয়রানি করতেন।