ভূঞাপুরে ভাঙছে যমুনা
প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৭, ১৫:৫৭
উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে যমুনায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই যমুনা নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চারদিন ইউনিয়নের ভাঙন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে অর্জুনা ইউনিয়নের অর্জুনা এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এছাড়া নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে শতাধিক গ্রাম, স্কুল, মাদরাসা, কলেজ, হাট-বাজার, মন্দির, মসজিদ, পোল্ট্রি খামার ও রাস্তা-ঘাট।
বিগত বছরে এই বর্ষা মৌসুমে অর্জুনা এলাকার প্রায় তিনশতাধিক ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত সোমবার থেকে এই অর্জুনা গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভিটেমাটি-ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব গৃহহীন মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষেরা।
অভিযোগ আছে, ভাঙন ঠেকাতে নদীপাড়ে গত বছর থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ভাঙনরোধে যমুনা নদীতে ফেলা হলেও নানা অনিময় ও দুর্নীতির কারণে তা কোন কাজেই আসেনি। ঢাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে জিও ব্যাগ কার্যকর নয়। ভাঙনরোধে পরবর্তিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
এদিকে গত বছর কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি, ভালকুটিয়া, গোবিন্দাসী, চিতুলিয়াপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। যদি পানি বাড়ার আগেই ওই পয়েন্টগুলো জিও ব্যাগ দিয়ে উচু করে দেওয়া হলে পানিবন্দি হতো ওই গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার।
ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান আব্দুল হালিম এডভোকেট বলেন, হঠাৎ করেই যমুনায় পানি বেড়ে উপজেলার কয়েকটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মর্কতাদের অবহিত করা হয়েছে যাতে ভাঙনরোধে কাজ শুরু করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের প্রধান প্রকৗশলী মো. ফখরুল ইসলাম ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে জানান, যমুনা নদী ভাঙনরোধে আগামি বছরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।