সুখী রবি দাস হত্যায় মহিলা পরিষদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি
প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৭, ০৩:২০ | আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭, ০৩:২৪
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং বাজারে হরিজন সম্প্রদায়ের মৃত মনিলাল রবি দাস এর স্ত্রী সুখী রবি দাসকে একই এলাকার শাইলু মিয়া ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং মাথায় একের পর এক আঘাত করে গত ১০ জুন ২০১৭ তারিখ সুখী রবি দাসকে হত্যা করে। এর আগে ২০১৩ সালে সুখী রবি দাস এর চাচা অর্জুন রবি দাস এবং স্বামী মনিলাল রবি দাসকে শাইলু মিয়ার নেতৃত্বে হত্যা করা হয় যার সাক্ষী ছিলেন সুখী রবি দাস।
এই ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় হবিগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ১৩ জুন ২০১৭ তারিখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুখি রবি দাশের পরিবারের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত করা হয় এবং ঘটনার তথ্যানুসন্ধান করা হয়।
বাদীর কম্পোজকৃত এজাহার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, হত্যাকারী ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মৃত সুখিয়ার পরনের কাপড় চোপড় জোড় পূর্বক টানিয়া ছিড়িয়া খুলিয়া ফেলে। পরবর্তীতে একপর্যায়ে মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের কোন ধারা যুক্ত না করে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা প্রশাসক, সুপারেন্টেন্ড অব পুলিশ এবং শায়েস্তাগঞ্জের অফিসার্স ইনচার্জকে স্মারকলিপি প্রদানকালে ক্ষোভ প্রকাশ করে যথা আইনে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। সেই সাথে বাদীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়।
পরবর্তীতে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদককের সাথে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দেখা করে স্মারকলিপির কপি প্রদান করেন এবং এই বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এই বিষয়ে মৃত সুখি রবি দাশের এলাকায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদানের পর বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। বিক্ষোভ মিছিলে ঘটনার তথ্য অনুসন্ধান করে দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়। এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন মামলাটি করা হয়নি সেই বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন বক্তারা।
তারা আরো বলেন মামালাটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে বাদীর নিরাপত্তার প্রয়োজনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পরিচালিত রোকেয়া সদনে তাকে আশ্রয় দেয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডিরেক্টর লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড লবি অ্যড. মাকসুদা আক্তার, প্রোগ্রাম ডিরেক্টার অ্যাডভোকেসী জনা গোস্বামী এবং জুনিয়র আইনজীবী অ্যড,ফাতেমা খাতুন, লালচান হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিতা বাউরি সহ অন্যান্য সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।