‘প্রকৃতি রক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে’
প্রকাশ | ০৫ জুন ২০১৭, ১৩:৪৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে। তিনি প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি দেশের আপামর জনসাধারণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ৪ জুন (রবিবার) দেয়া এ বাণীতে এই আহবান জানান।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এবারের স্লোগান ‘আমি প্রকৃতির, প্রকৃতি আমার’ এবং প্রতিপাদ্য ‘প্রাণের স্পন্দনে, প্রকৃতির বন্ধনে’।
বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং এর উপদানসমূহের টেকসই ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন, ২০১৭ জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নদীদূষণ রোধসহ নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিল্পকারখানার বর্জ্য হতে নদ-নদী, জলাভূমি ও জলাধারসমূহ রক্ষায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক নিবিড়। প্রকৃতির অমূল্য দান পানি, বায়ু, উর্বর মাটি ও মূল্যবান প্রকৃতির সম্পদ আমাদের জীবন ও জীবিকার চালিকাশক্তি। প্রকৃতির সাথে গ্রামীণ জনমানুষের জীবনের নিবিড় ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের অপরিণামদর্শী কার্যকলাপে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাবে আমরা হারাতে বসেছি প্রতিবেশের সেবা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
শেখ হাসিনা বলেন, মানবসৃষ্ট পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং মাত্রাতিরিক্ত সম্পদের ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট প্রতিবেশগত বিপর্যয়ের ফলে সর্বাগ্রে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল গ্রামীণ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।