গৃহবধূকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখে পলাতক স্বামীর পরিবার
প্রকাশ | ০৩ জুন ২০১৭, ২০:৫৪
ফারহানা বেগম (২০) নামের এক সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার মৃতদেহটি ঘরে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুছা মোতাপাড়া গ্রামে শ্বশুড়বাড়ি হতে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার পর বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে নিহত গৃহবধূর শ্বশুর আব্দুস সবুর, শাশুড়ি মাহমুজা বেগম, ননদ ছকিনা বেগম ও দেবর জিয়াউর রহমান।
নিহত গৃহবধূর স্বামী মাজেদুল ইসলাম একটি তৈরী পোশাক কারখানায় কর্মরত থাকায় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
গত দুই বছর আগে একই ইউনিয়নের মুছা নয়াপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে ফারহানা বেগমের সঙ্গে মুছা মোতাপাড়া গ্রামের আব্দুর সবুরের ছেলে মাজেদুল ইসলামের বিয়ে হয়।
এলাকাবাসীর মতে, স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে তার স্বামী মাজেদুল ঢাকায় থাকতো। গত ২৫ মে মাজেদুল তার স্ত্রী ও ছয় মাস বয়সের মেয়ে মিতি বেগমকে তার বাবা মার বাড়িতে রেখে পুনরায় ঢাকাস্থ কর্মস্থলে ফিরে যায়।
এর মধ্যে ফারহানার গলার সোনার চেন তার ননদ চুরি করে। এ নিয়ে ফারহানার সঙ্গে ননদ ছকিনা বেগমের বিবাদ সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন গত ২ জুন (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে তারা ফারহানাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এতে ফারাহানা তার সন্তানসহ শ্বশুড়বাড়ি হতে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ে। এ সময় তাকে পুনরায় ধরে এনে ঘরে ভেতর আটক রাখা হয়।
সকালে এলাকাবাসী দেখতে পান ওই বাড়ির ঘরে ফারহানার মৃতদেহ টেবিলের উপর দুই পা ভাজ করা অবস্থায় এবং গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলছে।
এলাকাবাসীর মতে, হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে ওই পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছে।
ফারহানার বাবা গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।