উত্তরায় লিফট দুর্ঘটনায় আহত শাপলা কোমায়
প্রকাশ | ২৭ জুন ২০১৬, ১৮:৫৮
উত্তরা আলাউদ্দিন টাওয়ারে লিফট দুর্ঘটনায় আহত মীর হাবিবা নাসরিন শাপলা দুর্ঘটনার পর থেকেই কোমায় রয়েছেন। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ জন।
এই দুর্ঘটনায় শাপলা ও তার স্বামী ইয়াসির ইমরানসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হলেও আহতদের মধ্যে একমাত্র কোমায় রয়েছেন শাপলাই। তিনি উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। রবিবার (২৬ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে আগারগাঁও নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। উত্তরা ক্রিসেন্টে ডা. মেজবাহ উদ্দিনের অধীনে চিকিৎসায় ছিলেন শাপলা। আগারগাঁও নিউরোতে তার অধীনেই চিকিৎসা চলবে শাপলার।
একই হাসপাতালে তার স্বামী ইয়াসির ইমরানও পায়ে, মাথায় আঘাত পেয়ে চিকিৎসায় ছিলেন। রবিবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি বাসায় চলে যান।
ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা করে আহত স্বামী ইয়াসির ইমরান বলেন, আলাউদ্দিন টাওয়ারের উল্টো পাশের এইচ এম প্লাজার সামনের ফুটপাতে ওড়না, থ্রি-পিসের দোকানে কেনাকাটা করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। আমার মাথার পেছনে, পিঠে ও পায়ে আঘাত লাগে। সেই সময় শাপলা একটু দূরে ছিল। আমি এরপর শাপলার নাম ধরে ডেকে ওর দিক যেতেই দেখি মাটিতে পড়ে আছে। জ্ঞান ছিল না তার। এরপর দুজন পথচারীর সহযোগিতায় রিকশায় তুলে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখন টের পাই আমার জুতা ভরা রক্ত।
তিনি আরও বলেন, ওর মাথায় বড় একটা কাটা দেখেছি। ফলে বোঝা যাচ্ছে আঘাত গুরুতর।
শাপলার ছোট ভাই মেজবা হাবিব জানান, শাপলা বর্তমানে কোমায় রয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও মূল চিকিৎসা শুরু হয়নি।
কত দিন সময় লাগবে সুস্থ হতে এর জবাবে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মেজবা বলেন, ৫০ শতাংশ মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন শাপলা। তবে কোমার চিকিৎসা শুরু হলে বোঝা যাবে কত দিন লাগতে পারে।
ইয়াসির জানান, দুর্ঘটনার পর দুই লাখ টাকা লোন নিয়েছেন তিনি। সেই অর্থ দিয়েই চিকিৎসা চলছে। এই দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে তার স্বজনরা বলছেন, শাপলার মাথায় যেভাবে আঘাত লেগেছে এর উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। এজন্য মার্কেট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা।
উল্লেখ্য, তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় শাপলা উত্তরা নর্থ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা। তার একমাত্র সন্তান সাড়ে চার বছর বয়সী সায়ার ফারাজ উত্তরা বিআইটি স্কুলে কেজি ওয়ানে পড়ছে। মায়ের এই অবস্থার কথা এখনো জানে না শিশু সায়ার।