সরানো হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য
প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৭, ০১:৫৭
অনেক আলোচনা সমালোচনা ও বিতর্কের পর সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ন্যায়বিচার এর প্রতীক হিসেবে গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে নির্মিত ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই ভাস্কর্য সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাস্কর্যের ভাস্কর মৃণাল হক এর তত্ত্বাবধানে এই ভাস্কর্যটি সরানোর কাজ চলছে।
ভাস্কর্য সরানোর কারণ হিসেবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, "ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আমি নিজে এই কাজটি তত্ত্বাবধান করছি যেন ভাস্কর্যটি অবিকৃত অবস্থায় অপসারণ করা সম্ভব হয়"।
তবে কোন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি ভাস্কর্যটি সরিয়ে নিচ্ছেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন 'তারা প্রভাবশালী'।
রাতের অন্ধকারেই কেন ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরও এড়িয়ে যান তিনি।
অশ্রুসজল চোখে ভাস্কর মৃণাল হক আরো বলেন, "এই ভাস্কর্যটি গ্রিক দেবীর কোন ভাস্কর্য নয়। এটি এক বাঙালি নারীর ভাস্কর্য এবং ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে বানানো হয়েছিল। মৌলবাদীদের চাপে এই ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা এই দেশের জন্য একটি নেতিবাচক ও দুঃখজনক ঘটনা। ভবিষ্যতে হয়তো মৌলবাদীরা দেশের অন্যান্য ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার জন্যও চাপ প্রয়োগ করবে"।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম সহ দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী ইতিপূর্বে ধর্মানুভূতির কথা তুলে এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার দাবী জানায় যার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাত্মতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা হয় সারা দেশের প্রগতিশীল মহলে। মৌলবাদী চক্রের কাছে একে নতজানু হওয়া বলে আখ্যা দেন অনেকে।