হলি আর্টিজানে হামলা: দ্রুত নিষ্পত্তি চায় জাইকা
প্রকাশ | ২৫ মে ২০১৭, ২২:৪২
ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় করা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় জাপান আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (জাইকা)।
২৫ মে (বৃহস্পতিবার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠকে এ তাগিদ দেয় জাইকার প্রেসিডেন্ট ড. শিনিচি কিতাওকার নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদল। বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতও উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, হলি আর্টিজানের মর্মান্তিক হামলার পর জাইকার প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে। যদি আরো নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়, তবে তাও দিতে সরকার প্রস্তুত আছে বলে জাইকার প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, প্রতিনিধিদল হলি আর্টিজানের ঘটনায় করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই মামলার তদন্ত করছে বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান তিনি। শিগগির এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, জাপানি নাগরিক হোশি কোনিওর মৃত্যুর ঘটনাও নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলেও প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে।
এসব হামলার ঘটনার পর সরকার যে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে জাইকার প্রতিনিধিদল সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া বাংলাদেশে জাইকার যে প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে চলছে, সেগুলো চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন।
তবে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জাইকার প্রতিনিধিদল সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
গত বছরের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে অস্ত্রধারী জঙ্গিরা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলি ও গ্রেনেড হামলায় নিহত হন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম। এছাড়া আহত হন অনেক পুলিশ সদস্য। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট অভিযান’ চালিয়ে রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত এবং ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে জাপানের সাত নাগরিকসহ ১৭ বিদেশি নিহত হন। এ ছাড়া অভিযানে ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হয়।