'সত্য বলতে চাই, কিন্তু পারছি না'
প্রকাশ | ২৬ জুন ২০১৬, ২১:৪৬
তনু হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সত্য বলতে চাইলেও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তনুর বাবা ইয়ার হোসেন। শনিবার দুপুরে সাংবাদিককে তিনি এসব কথা বলেন।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, “আমি সত্য বলতে চাই, সত্য বলতে পারতেছি না। খোলা কথা। সত্য যদি বলতে পারতাম, আমার কেইসটা জনগণ ও সরকার বুঝতে পারত।”
ইয়ার হোসেন বলেন, “আমিতো সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। যে করছে, অন্যায়কারীর বিচার আমি চাই। আমি তো বলব না যে পুরো বাংলাদেশের সেনাবাহিনী করেছে, আমার কথা হলো কুমিল্লার ক্যান্টমেন্টের লোকেরা করেছে। চট্টগ্রাম বা ঢাকার তারা তো করে নাই, তারা আমার বিরুদ্ধে খ্যাপলো কেন?”
তনুর বাবা জানান, "২২ জুন কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খানের নেতৃত্বে সিআইডির তদন্ত দল কুমিল্লা সেনানিবাসে এসে আমার পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেছেন। তখন সিআইডির পক্ষ থেকে আমাদের বলেন ক্যান্টনম্যান্ট ফাঁড়ির এসআই নূরে আলম বাসায় আসবে; অভিযোগটির বিষয়ে একটি জিডি করবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পুলিশ সদস্য আসেনি"।
তিনি বলেন, “আমি তো আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি করছি। আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হবে কেন? এখন আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”
তবে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নূরে আলম জানিয়েছেন সিআইডির পক্ষ থেকে কেউ বিষয়টি তাদের জানায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার ভেতরে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ পাওয়া যায়। পরদিন লাশের প্রথম ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পরে ৩০ মার্চ আদালতের আদেশে তনুর লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। ওইদিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গঠিত মেডিকেল বোর্ড দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করে।
তবে সিআইডির ডিএনএ রিপোর্টে তিন পুরুষের বীর্যের আলামত পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
এছাড়া গত ২০ জুন তনুর মা আনোয়ারা বেগম এক প্রতিবাদ সমাবেশে অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীরা তার পরিবারকে হয়রানি করছে এবং তনুর বাবা ইয়ার হোসেনকে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।