‘নারীবাদীদের স্বপ্ন পূরণে লাভবান হবে পুরুষও’
প্রকাশ | ২১ মে ২০১৭, ১৮:০৩
আমরা এখন পোস্ট ফেমিনিজমে আছি। একে শক্তিশালী করতে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানী, উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি (ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং)-এর দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়ক ও নারীবাদী আন্দোলনমঞ্চ সাংগাত-এর প্রতিষ্ঠাতা কমলা ভাসিন। তিনি বলেন, ‘হি ফর সি নয়, হি ফর হি’ নারীর সমতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। পুরুষ পুরুষকে সচেতন করলে নারীবাদের স্বপ্ন এগিয়ে যাবে আর এতে পুরুষ লাভবান হবে।
২০ মে (শনিবার) বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ভবনের ‘কমলার সঙ্গে এক বেলা’ শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বক্তৃতা শেষে নারীবাদ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, কিছু সময় নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি পিতৃতান্ত্রিক হন। ভারত বাংলাদেশে কোথাও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বিয়ে, যৌন সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই বিষয় বেশি বেশি করে কথা বলার আহ্বান জানান তিনি।
কমলা বলেন, এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ সম্পদ, পেশা সমাজ সবই পুরুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এখন পর্যন্ত একজন নারীও পোপ হতে পারেনি। ধর্ম পুরুষের হাতে। উপনিবেশিক পিতৃতান্ত্রিকতা এখনও বহমান। শ্রেনি লিঙ্গয়িক অবস্থা আজও বৈষম্য তৈরি করে। আজ আমরা এই ঘরে যে নারীরা জড়ো হয়েছি তারা উচ্চ শ্রেণির ও শিক্ষিত। কিন্তু এটাই আসল চিত্র না। ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা নারী হলেও স্বাস্থ্য, সম্পদ, স্বাধীনতা, শিক্ষা সকল বিষয় লাভবান হয় পুরুষ। নীতি-নির্ধারণের জন্য যে সংসদ তাও ৯০ শতাংশ পুরুষের নিয়ন্ত্রণে। এই অবস্থা পরিবর্তনে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ের ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেন ধর্ষণ বেশি হচ্ছে না কি এই বিষয় রিপোর্টিং বেশি। আমি বলবো দুটোই। আর এ জন্য অবাধ পর্ণোগ্রাফির বিচরণকে তিনি দায়ী করেন। এর কারণে কিছু কিছু জায়গায় ছেলেরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এই অবস্থারও পরিবর্তন দরকার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উদ্যমে উত্তরণে শতকোটির বাংলাদেশের সমন্বয়ক খুশি কবির এবং সাংগাতের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ফৌজিয়া খন্দকার ইভা।