বিল্লালের ৪ দিন ও রহমত আলীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রকাশ | ১৬ মে ২০১৭, ১৭:০৩
বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনকে ৪ দিন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১৬ মে (মঙ্গলবার) ঢাকার মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা তাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হেমায়েতউদ্দিন মোল্লা বলেন, দেহরক্ষী রহমত সোমবার (১৫ মে) থানায় আত্মসমর্পণ করে। তাই তার জামিনের আবেদন করেছি।
ঢাকা মহানগর আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা এবং এখনও একজন আসামি পলাতক আছে জানিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতে বাদীপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ফাইমিদা আক্তার।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে বিল্লাল হোসেন ও রহমত আলীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এই আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত বিল্লাল হোসেনকে ৪ দিন ও রহমত আলীকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৫ মে (সোমবার) রাতে রহমতকে গুলশান থেকে গোয়েন্দা পুলিশ এবং বিল্লালকে নবাবপুর রোড থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। এই মামলার আরেক আসামি নাঈম এখনো পলাতক আছেন। এ ছাড়া এই মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তারা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদের জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তাদের বনানীর কে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম।’ এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে।