ধর্ষণের আলামত নষ্ট, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ১৪ মে ২০১৭, ১৬:১৭
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বিচারের নামে ভুক্তভোগীকে আইনিসেবা পেতে বাধা ও ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার অভিযোগে মানিকগঞ্জের আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সামছুল হক প্রামাণিক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১২ মে (শুক্রবার) রাতে উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের স্থানীয় একটি এলাকার নারী শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলায় অন্য আসামিরা হলো, সদর উপজেলার কাটিগ্রাম গ্রামের আলম মিয়া (৩০) ও শহিদ হোসেন (২০) ও মাসুদ রানা (৩০) এবং কৃষ্ণপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৮)।
মামলার এজাহার এবং ভুক্তভোগী জানায়, আটিগ্রাম ইউনিয়নের ওই নারী শ্রমিক জুতা তৈরির একটি কারখানায় কাজ করেন। গত ২৪ এপ্রিল (সোমবার) কারখানা ছুটির বাড়ি ফিরছিলেন, অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় এবং ঝড় বৃষ্টির কারণে কোনো গাড়ি পাচ্ছিলেন না। এ সময় একই কারখানায় কাজ করেন আলম ও শহিদের সঙ্গে তার দেখা হয়। তারা ওই তরুণীকে তাদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ি যেতে বলেন। একই কারখানায় কাজ করার কারণে পূর্বপরিচিত হওয়ায় তিনি তাদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা হন। নয়াডিঙ্গী-রাজিবপুর সড়কের কৈট্টা এলাকায় পৌঁছার পর তারা ফোনে দুইজনকে কাটিগ্রাম বাজারে আসতে বলেন। পরে ওই বাজারের আগে একটি সেতুর কাছে পৌঁছার পর মাসুদ ও সাইফুল সেখানে উপস্থিত হয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ের নিয়ে ওই চার আসামি তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের ঘটনাটি জানান। পরদিন সকালে তার বাবা ও মা ঘটনাটি ইউপি সদস্য সামছুল হক প্রামানিককে জানালে তিনি বিষয়টি কারো কাছে জানাতে নিষেধ করেন। এরপর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিনি মিমাংসার নামে সময় নষ্ট করতে থাকেন এবং মামলা না করার জন্য হুমকি দেন। পরে বিষয়টি পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানতে পারেন। তার সহযোগিতায় ১২ মে (শুক্রবার) রাতে মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিকের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তাকে আইনিসেবা পেতে বাধা ও ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার অভিযোগে ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।