ধুনটে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ | ১৪ মে ২০১৭, ১২:৩৪
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় বিষ মিশ্রিত পান্তা ভাত খাইয়ে স্ত্রীকে হত্যার ৬ দিন পর স্বামী ও সন্তানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের বড় ভাই আব্দুস সোবাহান বাদি হয়ে বগুড়া আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। ১২ মে (শুক্রবার) সকালে বাদী পক্ষের আইনজীবী ইলিয়াস উদ্দীন মিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভুবনগাতী গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে আবু বক্করের প্রথম স্ত্রী প্রায় ১৬ বছর আগে মারা যান। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর শেরপুর উপজেলার মধ্যভাগ গ্রামের আব্দুস শুকুরের মেয়ে আসমা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আবু বক্করের প্রথম স্ত্রীর পক্ষের ৪ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবি করে না পেয়ে স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতনে করতো আবু বক্কর। নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়েরের হুকমি দেন আসমা খাতুন। এতে স্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ হন আবু বক্কর।
গত ৩ মে বিকেলে স্ত্রীকে কৌশলে বিষ মিশ্রিত পান্তা ভাত খাওয়ায় আবু বক্কর। এতে শরীরে বিষক্রিয়ায় আসমা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশি লোকজন তাকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ মে আসমার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় ভাই আব্দুস সোবাহান বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আমার বোনকে নির্যাতন করতো তার স্বামী ও সতীনের সন্তানেরা। শরীরে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বোন মারা গেছে। এ ঘটনায় আবু বক্কর ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এ কারণে ১০ মে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসমার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালতের মামলা বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।