গণমাধ্যমে তনুর পরিবারের বক্তব্যের ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বক্তব্য
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৬, ০০:১৪
কুমিল্লায় সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্প্রতি তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, সেসব বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্ত কার্যক্রম চলমান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ তদন্তে পূর্ণাঙ্গ ও আন্তরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশবাসীর মতো দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও চায় প্রকৃত হত্যাকারীরা দ্রুত শনাক্ত হোক এবং তাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে যথাযথ বিচারের সম্মুখীন করা হোক।
তবে, তনুর পরিবার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে ভিত্তিহীন ও অসংলগ্ন অভিযোগ করা হয়েছে, যাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার অবকাশ রয়ে যাচ্ছে। সেনানিবাসের ভেতরে বসবাসরত অন্য সব পরিবারের মতোই তনুর পরিবারকে সব রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের স্বাধীন চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের পর প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা ও তদন্তের স্বার্থে তাদের বসবাস এলাকায় প্রহরী নিয়োগ করা হলেও পরে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি সাপেক্ষে তুলে নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সেনানিবাস নিরাপত্তার স্বার্থে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে গমনাগমনের জন্য সবাইকে পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই সামরিক রীতি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করা বা কারও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য নয়।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের একজন কর্মরত সদস্য, যিনি অন্য সবার মতোই সেনানিবাসের ভেতরে নিরাপত্তা পাচ্ছেন। তাঁকে বাস বা মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা সম্পূর্ণ একটি ধারণাপ্রসূত ব্যাপার, যে ব্যাপারে তনুর পরিবার কাউকেই এ পর্যন্ত কোনো কিছু অবগত করেনি। এ ব্যাপারে ইয়ার হোসেনকে তাঁর উপরস্থ কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও), যিনি বেসামরিক প্রশাসন থেকে প্রেষণে নিয়োজিত একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইয়ার হোসেন নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হন। তা ছাড়া তিনি এ ব্যাপারে এত দিনে সেনা কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী কাউকেই অভিযোগ করেনি, যা গুরুত্ব বিবেচনায় অসংলগ্ন প্রতিপন্ন হয়।
তনুর পরিবার সেনাবাহিনীর অন্য সব পরিবারের মতো এখনো সেনানিবাসের ভেতরে বসবাস করছে। সেনা কর্তৃপক্ষ তনু হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তসহ তনুর শোকাহত পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।