শৈলকুপায় গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা
প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৬, ২০:৪৬
ঝিনাইদহের শৈলকুপার রোজিনা নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী মহল ঘটনার ধামাচাপা দিতে লাশ রাস্তার উপর ফেলে তাকে পাগল ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে বড়দাহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার বড়দাহ গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী রোজিনা খাতুন ২ সন্তানের জননী। রোজিনার স্বামী মাসুদ রানা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বুধবার রাতে তারাবির নামাজের সময় রোজিনাকে বাড়িতে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। অনেক খোঁজাখুজির পর রাত ১০টার দিকে মহাসড়কে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। তবে লাশ দেখে পরিবারের সন্দেহ হয় রোজিনাকে নির্জন স্থানে বা পান বরজে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে মহাসড়কে।
রোজিনার পিতা আব্দুল আজিজ জানান, তার মেয়ের লাশ রাস্তায় ছিল। তবে সেখানে কোন রক্ত না থাকায় তার সন্দেহ বাইরে থেকে তার উপর শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা করে মহাসড়কে ফেলে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। তিনি সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাস্তার পাশ থেকে গৃহবধূ রোজিনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূ রোজিনাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করার পর জানা যাবে।