কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা, ৩ জনের কারাদণ্ড
প্রকাশ | ১১ মে ২০১৭, ১৯:১৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের আমারক গ্রামে শিউলী রানী (১৪) নামে এক কিশোরীকে যৌন হয়রানী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার দেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত মামলার তিন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১১ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক জিয়াউর রহমান এ আদেশ দেন।
আসামি হলো মো. হোসেনের ছেলে মো.খাইরুল (২৪), মো.সাজ্জাদের ছেলে মো. ফারুক (২৩) সাইফুদ্দিনের ছেলে মো.রনি (২৪)।
অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর দুপুরে জমি থেকে খড় নিয়ে বাড়ি ফিরছিল শিউলী। পথে আসামীরা তাকে নানা ভাবে যৌন হয়রানী করে। শিউলী তাৎক্ষনিক এর প্রতিবাদ করে ও ঘটনাটি বাড়িতে জানায়। এর মধ্যে আসামীরা পালিয়ে যায়। শিউলীর পিতা-মাতা ঘটনাটি গ্রামবাসীকে জানায়। গ্রামবাসী তাদের এব্যাপারে মামলা মোকদ্দমা না করে মীমাংসার জন্য বলে। কিন্তু বিকেলে শিউলী ঘটনার লজ্জায় ও ঘৃনায় কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে।
এ প্রেক্ষিতে শিউলীর পিতা ইন্দ্রজিত রায় তার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও সহায়তার অভিযোগে পাঁচজনকে আসামী করে ওই দিনই সদর থানায় মামলা করেন। মামলা নং-২৫ এবং নারী ও শিশু-১৫৫/১৩,ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ‘ক’/৩০।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
চার্জশীটে এজাহারনামীয় এক আসামীকে বাদ দেওয়া হয় ও একজনকে যুক্ত করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানী শেষে আদালত তিন আসামীকে দণ্ড প্রদান করেন ও দুই আসামীকে বেকসুর খালাস দেন।