বিষ প্রয়োগে চিকিৎসক-নার্সকে হত্যা!
প্রকাশ | ০৮ মে ২০১৭, ১৫:৩১
খাবারে বিষ মিশিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (৪৩) ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবেদা খাতুনকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে। ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী লাকি খাতুন এ কথা স্বীকার করেছেন ।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, ৬ মে (শনিবার) সন্ধ্যায় কাজীপুর উপজেলার বেড়ী পোটল গ্রামের জহরুল ইসলামের স্ত্রী লাকি খাতুনকে সিরাজগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় লাকি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করার পর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নজরুল ইসলাম লাকিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, লাকি খাতুন তার লিখিত জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন, ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের ওপর আমি ক্ষুব্ধ ছিলাম। তাকে শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকি। পাশের গ্রামের কবিরাজ তমসের আলীর কাছ থেকে ওষুধ (বিষ) সংগ্রহ করি। গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে প্রধান সহকারী আলমগীর স্যারের বাসা থেকে খাবার আনার সময় তরকারির সঙ্গে ওষুধ মেশাই। ওই খাবার খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মনিরুজ্জামান ও জোবেদা খাতুন মারা যান'।
এদিকে লাকি খাতুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কাজীপুর উপজেলার টিকোভিটা গ্রাম থেকে ‘বিষ সরবরাহকারী’ কবিরাজ তমসের আলীকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সিনিয়র নার্স জোবেদা খাতুন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে দুপুরের খাবার খান। খাবার খেয়ে তারা তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নার্স মারা যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী আলমগীর বর্তমানে সুস্থ আছেন।