জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ | ২২ জুন ২০১৬, ১৯:৪৮
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গি কায়দায় সম্পতি কয়েকটি হত্যাকাণ্ড এবং তা দমনে পুলিশের অভিযানের মধ্যে সংসদে এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন সরকার প্রধান হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ যাতে না থাকে, ইতোমধ্যে আমরা জিরো ট্রলারেন্স অর্থাৎ কোনোমতেই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিজের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ওআইসিতে যতবার আমি গেছি, এ প্রশ্নটা আমি তুলেছি। ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে যখনই দেখা হয়েছে, আমি এ কথাটা বলেছি।”
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রুখতেই সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রায় ৪০টা দেশ এ জোটে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্যে যা যা করণীয় সেটা বাংলাদেশ করবে; এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ”।
বাংলাদেশের এই অবস্থান সবার কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা আমি সকল মুসলিম দেশকে জানিয়েছি। সৌদি বাদশাহকেও জানিয়েছি। ওআইসিকেও জানিয়েছি। আজকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, সেটা যেন আর না ঘটে।”
প্রশ্নোত্তর পর্বে আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশে আর্থ সমাজিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদন বৃদ্ধি এসব লক্ষ্য নিয়েই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। বিদেশি বিনিয়োগ যাতে দেশে আসে সেজন্যে আমরা বিশেষ সুবিধাগুলো দিয়ে যাচ্ছি।”
বিদেশি বিনিয়োগ ২০১৪ সালের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও সংসদে তুলে ধরেন তিনি।
স্থানীয় নির্বাচনে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণকে মাইলফলক অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি ভেবেছিলাম প্রশ্নটি হবে, নারীদের এত ক্ষমতা দিলাম পুরুষদের জন্যে কিছু করব কি না? উনি সেই প্রশ্নটা করবেন। তবে সেই দিন বেশি দূরে নয়, ভবিষ্যতে হয়ত দেখা যাবে পুরুষ অধিকার সংরক্ষণ কমিটি করা হচ্ছে। তাতে, আমার সমর্থন পাবেন”।