পদ্মায় নৌকাডুবি: পাঁচজনের লাশ উদ্ধার
প্রকাশ | ০২ মে ২০১৭, ২০:০২
রাজশাহীতে পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের প্রায় ৩৬ ঘন্টা পর ২ মে (মঙ্গলবার) ভোরে দমকল কর্মীরা এসব মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় তিন কিলোমিটার দুরে নগরীর জাহাজঘাট এলাকা থেকে।
মৃতরা হলেন, নগরীর দরগাপাড়া এলাকার নৌকার মাঝি সারোয়ার হোসেন রফিক (৪৫), রাজশাহী কলেজের হিন্দু ছাত্রাবাসের নৈশ্যপ্রহরী রবিন (২৮), নগরীর ডাঁশমারি এলাকার আসাদুল হক (৪৫) এবং শাহমুখদুম জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবুল আহাদ (৯) ও তামিম ইকবাল (৯)।
ভোর ৬টার দিকে স্থানীয়রা মরদেহগুলো ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা গিয়ে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, উদ্ধারের পর মরদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তাস্তর করা হয়। এর আগে রবিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর ঝড়ের কবলে পড়ে পাঁচ যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি ঘটে নগরীর পদ্মা গার্ডেন এলাকার পদ্মায়।
ওই দিন রাত পৌনে ১২টার পর থেকে ভোর পৌনে ৪টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলে। সোমবার (১ মে) সকাল ৮টা থেকে আবারো শুরু হয় অভিযান। দিনভর অভিযানে সন্ধান মেলেনি মরদেহের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, উদ্ধারকৃত সারোয়ার হোসেন রফিক, রবিন ও আসাদুলের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে স্বজনদের নিকট।
এছাড়া আহাদ ও তামিমের মরদেহ নিয়ে গেছেন শাহমুখদুম জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
নৌকাডুবির ঘটনায় রক্ষা পাওয়া নগরীর দরগাপাড়া এলাকার রকির তথ্যমতে, চরখিদিরপুর ও বড়কুঠির মাঝামাঝি জায়গায় নৌকাটি ডুবে যায়। চরখিদিরপুর থেকে দুজন নৌকায় উঠতে চেয়েছিলেন। তাঁদের তুলে নিতে নৌকাটি ঘোরানো হচ্ছিল।
এ সময় ঝড় ওঠায় নৌকাটি ডুবে যায়। রকি অন্য নৌকা চালাতেন। তিনিও তখন ওই নৌকায় ছিলেন। তার সঙ্গে সাঁতারে তীরে ফেরেন একই এলাকার রাশেদ। এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই পাঁচজন।