প্রবাসীর স্ত্রী’কে মারধর, যুবককে বেঁধে নির্যাতন
প্রকাশ | ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:৩৬
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নে অনৈতিক কর্মের অভিযোগ এনে দুই সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী (৩০) কে মারধর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার এক যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ও প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে গৃহবধূকে মারধর ও যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতা ওই পরিবারের। এসময় তাদের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে তাদের মানহানি করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
ওই গৃহবধূর বাবা জানান, চরমার্টিন ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে নুরুল আমীনের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ দেন। এরই মধ্যে অভাবের সংসার হওয়ায় বিগত কয়েক বছর আগে নুরুল আমীন ওমান চলে যান। সে ওমান যাওয়ার পর থেকে এলাকার কিছু লোক তার মেয়েকে নিয়ে নানাভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। তার মেয়ে জামাই বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সালাহউদ্দিন নামে এক যুবক তাদের পরিবারের লোকজনকে সিএনজি করে আসা-নেওয়া করেন। এরই সুবাধে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই বাড়িতে আসলে ষড়যন্ত্রকারীরা কৌশলে তাদের ধরে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিকে অস্বীকার করায় ওই যুবককে বেঁধে ও প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ওই গৃহবধূ জানায়, নির্যাতন চলাকালে ওই এলাকার মান্নান মেম্বারের নের্তৃত্বে কয়েকজন বখাটে তাকে মারধর ও যুবক সালাহউদ্দিনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেন এবং ছবিগুলো ওমানে তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দিয়ে ওই নারীর সংসার ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কমলনগর থানাধীন হাজিরহাট ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে বেঁধে থাকা অবস্থায় ওই যুবকসহ নারীকে উদ্ধার করে। পরে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা লিখিত কোন অভিযোগ না করায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।