নারীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন ইউপি চেয়ারম্যান!
প্রকাশ | ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:২৭
শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান। ২৮ এপ্রিল (শুক্রবার) সকালে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বামুনিয়া ইউনিয়নের বারবিশা গ্রামের ইউপি সদস্য ইয়াচিন আলীর বাড়ীতে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আপোষ মিমাংসার নামে বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট নিজে লাঞ্চিত করেন। এ ঘটনার পরিবারের ২ জন সদস্য ২৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকালে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জানা যায়, বামুনিয়া ইউনিয়নের বারবিশা গ্রামের অনিল চন্দ্র রায়ের পুত্র ছত্রধর চন্দ্র রায় (৩৮) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে বিচার শালীসের নামে ইউপি সদস্য ইয়াচিন আলীর বাড়িতে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট উপস্থিত ছিলেন। বিচার চলার সময় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনকালীন সময়ের জের ধরে ছত্রধরকে পেটায়। এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজন ছত্রধর ও তার মা মনোবলা (৫৫)কে পিটিয়ে আহত করেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত ইউপি নির্বাচনের সময় ছত্রধর নৌকা মার্কার প্রার্থী মনোরঞ্জন রায়ের পক্ষে নির্বাচন করায় বর্তমান চেয়ারম্যান বুলেট পূর্বের জের ধরে এই ঘটনা ঘটায়।
আহত অবস্থায় ছত্রধর ও তার মা মনোবালা ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
মনোবালা বলেন, আমরা সংখ্যালঘু পরিবার হওয়ার কারণে বিচারের নামে ইউপি চেয়ারম্যান নির্যাতন করেছে। আমি এর বিচার চাই।
বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট বলেন আপোষ মিমাংসা চলার সময় ছত্রধর বেয়াদবীর কারণে তাকে আমি থাপ্পর দেই।