প্রথম ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ হচ্ছে মহেশখালী
প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:৫৩
দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে কক্সবাজারের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালীকে। ২৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
চারদিকে জলরাশি, মাঝখানে ছোট ভূখণ্ড। নাম তার মহেশখালী। লবণ উৎপাদন ও পান চাষের জন্য এ দ্বীপের পরিচিতি দেশবাসীর কাছে অনেক আগে থেকেই। এর বাইরেও এই দ্বীপের রয়েছে কিছু নেতিবাচক গল্পও।
বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের তাণ্ডব, পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের তৎপরতা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। মহেশখালী উপকূল দিয়ে হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শুধু ডিজিটাল সেবা নিশ্চিতই হবে না, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন রোধসহ অসংখ্য মঙ্গলসাধন হবে। কারণ ভৌগোলিক অবস্থান, অবকাঠামো ও মানবসম্পদের অভাব এবং অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন বিবেচনায় নিয়েই মহেশখালীকে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের দ্বীপ হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ডিজিটাল দ্বীপ।
এজন্য হাতে নেওয়া হয়েছে ‘কনভার্টিং মহেশখালী ইনটু ডিজিটাল আইল্যান্ড’ প্রকল্প। কোরিয়ান টেলিকম ও আইওএম গোটা দ্বীপটিকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন।