সিরাজগঞ্জে চিকিৎসক ও নার্সের মৃত্যুর ঘটনায় আটক ৩
প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:০১
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও এক সিনিয়র নার্সের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আটককৃতরা হলেন, কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক আব্দুল হামিদ, ২ জন এম,এল,এস,এস কাজিপুরের উল্লাপাড়ার মোয়াজ্জেম হোসেন ও মসলিমপাড়ার চান মিয়া।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মঞ্জুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্তে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্মরত মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক উদয় নারায়ন মোহন্তকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আর অসুস্থ প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌসের গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে এখনও কোন মামলা হয়নি। আটককৃতরা নিহত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাস্টাররোলে কর্মরত কর্মচারী কাজিপুরের বেড়িপোটলের লাকী খাতুন ও শুভগাছা গ্রামের রাশেদ গা ঢাকা দিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সরা প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেনের বাসায় দাওয়াত খেতে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান, নার্স জোবাইদা ও প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌসের জন্য কর্মচারীরা অফিসে খাবার নিয়ে আসেন। সেখানে খাবার খাওয়ার পর বিকেলে তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। আশংকাজনক অবস্থায় তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৯টার দিকে নার্স ও সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
নিহত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান পাবনার বেড়া উপজেলার মানিলা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবাইদা খাতুন (৩০) কাজিপুর উপজেলার বিয়ারা এলাকার বাবলু মিয়ার স্ত্রী।
মৃত্যুকালে চিকিৎসক মনিররুজ্জামান স্ত্রী, ২ মেয়ে ও নার্স জোবায়দা স্বামী ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন। আর অসুস্থ্য প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌস রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।