ধর্ষণচেষ্টা মামলা করায় বাদির পরিবার হুমকির মুখে
প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০০:৩১
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় এক গৃহবধূ ও তার পরিবার বিপাকে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের হুমকির মুখে গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সাদুল্যাপুর উপজেলার স্থানীয় একটি এলাকায় মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী তাদের সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন। জীবিকার তাগিদে স্বামী মোসলেম উদ্দিন ঢাকায় চাকরি করেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী মৃত গফুর আলীর ছেলে ও দুই সন্তানের জনক মশিউর রহমান মোসলেমের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
গত ১৭ এপ্রিল (সোমবার) রাতে মশিউর কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে মোসলেমের স্ত্রী মুখ চেপে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। পরে তার আত্মচিৎকারে শ্বশুর-শাশুড়িসহ বাড়ির অন্য লোকজন এসে ধারালো অস্ত্রসহ মশিউর আটক করে মারধর দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় পরেরদিন মোসলেমের স্ত্রী বাদি হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
গত ১৮ এপ্রিল সকালে মোসলেমের স্ত্রীর দেবর রনজু আহম্মেদ বাড়ি থেকে বের হয়ে নলডাঙ্গায় আসছিলেন। এসময় আসামি মোসলেমের ভাই জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নজরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আউয়াল, আবদুর রাজ্জাক, হারুন, রফিকুলসহ ১৫/১৬ জন তাকে পথরোধ করে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে জাহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন রনজুকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে রনজু মিয়া সাদুল্যাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এছাড়া আসামি মোসলেম জেলহাজতে থাকায় তার পরিবারের লোকজন বাদি মোসলেমের স্ত্রীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে মামলার বাদি তার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদির দেবর ও শ্বশুর-শাশুড়ী।
এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত মূল আসামি মোসলেম কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া রুজিনার দেবর রনজুকে মারধরের অভিযোগসহ হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।