গণধর্ষণের পর গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:০২
নীলফামারী নিতাই ইউনিয়নে ফজিলা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও স্তন কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
২৩ এপ্রিল (রবিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় ওই গৃহবধূর লাশ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ থানা পুলিশ বাড়ীমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমনরুম হতে উদ্ধার করে। গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই গৃহবধূ একই ইউনিয়নের কুটিয়ালপাড়া গ্রামের দিনমজুর বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দিনমজুর ফজলে মাহমুদের মেয়ে।
এই ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম বাবু (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
হত্যার শিকার ফজিলার বড় বোন লতিফা বেগম জানান, তিনি ও তার ছোট বোন ফজিলা বেগম গত তিন দিন হয় স্বামীর বাড়ি হতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। তাদের বাবার একশ শতক জমির মালিকা নিয়ে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খয়রাত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আনিছার রহমান ও মোখছার রহমান মোখলের সঙ্গে বিবাদ ও আদালতে মামলা চলছে। এ অবস্থায় ২২ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রামের খয়রাত হোসেনে স্ত্রী মনো বেগম এসে ফজিলাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর হতে ফজিলাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মনো বেগমের কাছে ফজিলার কথা জানতে চাইলে সে বাড়ি ফিরে গেছে বলে জানালেও ফজিলাকে সারা রাত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
২৩ এপ্রিল (রবিবার) সকালে বাড়ি হতে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে স্কুলে ফজিলার লাশ পড়ে আছে খবর ছড়িয়ে পড়লে মনো বেগমসহ তার স্বামী খয়রাত হোসেন ও অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
সহকারী পুলিশ (সার্কেল) জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, তিনি ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরণ করেছেন।
তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে দৃর্বৃত্তরা ওই নারীকে অন্য কোথাও গণধর্ষণের পর হত্যা করে বাড়ীমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের নিচতলার কমনরুম নিয়ে এসে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশীদ জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। যারা পালিয়ে গেছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।